হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালোই আছেন । সবাইকে স্বাগতম আমাদের নতুন ব্লগ পোষ্টে ” সিসিটিভি ক্যামেরা সেট আপ পদ্ধতি” । আমি শিহাব আপনাদের সাথে আছি emlearningpoint24.com এর পক্ষ থেকে। আমাদের আজকের আলোচিত বিষয়টি হলো ” সিসিটিভি ক্যামেরা সেট” । তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ সিসিটিভি ক্যামেরা সেট আপ নিয়ে।বর্তমান সময়ে সিকিউরিটির জন্য প্রায় সব জায়গায়ই সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এটি এমন একটি সিকিউরিটি পদ্ধতি মেটাল মাধ্যমে সহজেই সকল কিছু মনিটরিং করা সম্ভব । সিসিটিভি ক্যামেরা সেট আপ করার জন্য যেসকল জিনিস প্রয়োজন সেগুলো হলো
- ক্যামেরা
- মনিটর
- ডিভিডিআর
- হার্ডডিস্ক
- আ্যাডাপ্টার
- ভিডিও বেলুন
- ক্যাবল
এই সকল যন্ত্রগুলোর সেট আপ ই হলো মূলত সিসিটিভি ক্যামেরা সেট আপ। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক এই যন্ত্রগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত।
ক্যামেরা ও মনিটর
ক্যামেরা এবং মনিটর হলো মূল জিনিস । ক্যামেরা এর মাধ্যমে সাধারণত সেই সকল জায়গার ভিডিও ধারণ করা হয় যেখানে আপনি নজরবন্দি করে রাখতে চান। ক্যামেরা এর বিভিন্ন ধরন আছে যেগুলো আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে আপনাকে । যেমন : ৩৬০° ক্যামেরা আপনাকে সুবিধা দেবে সমস্ত দিক ভালো মতো দেখার। ক্যামেরা এর সংখ্যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। সেটা কম কিংবা বেশী হতে পারে । এবার আসি মনিটর নিয়ে মনিটর মূলত স্কিনের মতো কাজ করে । এখানে আপনি আপনার ভিডিওগুলোর আউটপুট দেখতে পারবেন । এটি একটি আউটপুট ডিভাইস যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সাইজের হতে পারে । আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমেও এটি মনিটরিং করতে পারবেন অনলাইনে। তবে অনলাইনে মনিটরিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যই থাকতে হবে ।
ডিভিআর ও হার্ডডিস্ক
সিসিটিভি ক্যামেরার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ডিভিআর এবং হার্ডডিস্ক । ডিভিআর অংশটি রেকর্ডার হিসেবে কাজ করে । এটি ভিডিও রেকর্ড করে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটার সাহায্যে ধারণকৃত ভিডিও মেমোরি,হার্ডডিস্ক অথবা অন্য কোথাও সংরক্ষণ করা যায়। প্রয়োজনের ধরণ অনুযায়ী ডিভিআর বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: ৪ পোর্ট , ৮ পোর্ট , ১২ পোর্ট । ক্যামেরার সংখ্যার উপর নির্ভর করে ডিভিআর নির্বাচন হয়ে থাকে। হার্ডডিস্ক অংশটি ব্যবহার হয়ে থাকে ভিডিও সেইভ এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করার কাজে । হার্ডডিস্ক বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে যেমন ৪ পোর্ট এবং ১ টেরাবাইট । হার্ডডিস্ক যতো বেশি হবে ভিডিও ধারণ ক্ষমতাও ততো বৃদ্ধি পাবে । সুতারাং হার্ডডিস্ক বেশি স্টোরেজের হলে ভালো হয়।
আরো পড়ুন : CPA Marketing শিখুন মোবাইল দিয়েই
আ্যাডাপ্টার ও ভিডিও বেলুন
এটিও সিসিটিভি ক্যামেরার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আ্যাডাপ্টার অংশটি মূলত বিদ্যুতের কাজ করে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তা মূলত আ্যাডাপ্টার প্রদান করে থাকে । ক্যামেরার জন্য মূলত ভিসি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় এবং এটির পরিমাণ হলো ১২ ভোল্ট । কিন্তু আমাদের বাসা বাড়িতে সাধারণত ২২০ ভোল্ট হয়ে থাকে যেটি ক্যামেরার জন্য মোটেও সুবিধাজনক নয়। তাই আ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা হয় ২২০ ভোল্টকে ১২ ভোল্টে রুপান্তর করার জন্য। প্রতি ক্যামেরার জন্য মূলত একটি আ্যাডাপ্টর দরকার । অর্থাৎ ক্যামেরার সংখ্যার এবং আ্যাডাপ্টারের সংখ্যা হবে সমান। এখন চলুন আলোচনা করি ভিডিও বেলুন সম্পর্কে। ভিডিও বেলুন টি মূলত সংযোগের কাজ করে থাকে এটি ক্যামেরার সাথে ক্যাবলকে সংযুক্ত করে থাকে । ভেডিও বেলুনের সংখ্যা হবে ক্যামেরার সংখ্যার দ্বিগুন। অর্থাৎ প্রতিটি ক্যামেরার জন্য ভিডিও বেলুনের সংখ্যা হবে দুইটি।
ক্যাবল :
ক্যাবলের কাজ হলো মূলত সংযোগ স্থাপন করা। ক্যামেরার সাথে অন্যান্য অংশকে সংযোগ করে থাকে ক্যাবল। ক্যামেরা , ডিভিডিআর এ বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার জন্য। ক্যাবলের সংখ্যা নির্ভর করে ডিভিআর এর দূরত্বের উপর। সাধারণত ৬ ক্যাবল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্কিং পদ্ধতি :
- আপনাকে প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে উপরে আলোচিত সকল যন্ত্রাংশ আছে কিনা।
- এরপর আপনাকে ক্যামেরা গুলোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে ।
- ডিভিআর এবং হার্ডডিস্ক সঠিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে ।
- আ্যাডাপ্টর সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে ।
- ক্যামেরার ভিডিও দেখার জন্য মনিটর এবং ডিভিআর যথাযাথ সংযুক্ত করতে হবে । যেনো সঠিকভাবে কাজ করে।
আশা করি সকল বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।এইভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার সিসিটিভি ক্যামেরা সেট আপ করতে পারবেন। সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। দেখা হবে আপনাদের সাথে নতুন কোনো ব্লগ পোষ্টে।